প্রাথমিকের কারিকুলাম ও সময়ে আসছে বড় ধরনের পরিবর্তন

বিবিধ

নিউজ ডেস্কঃ গতানুগতিক পাঠদান ব্যবস্থার বাহিরে যেতে চাচ্ছে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থাপনা। এ ক্ষেত্রে যেটি হয়ে থাকে তা হল, শিক্ষক একটি পাঠ উপস্থাপনের পরে বাড়ির কাজ হিসাবে কোন পড়াকে মুখস্থ করে আসতে বলেন। এই ধারণারই বাহিরে যেতে চায় বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিয়েছে লেখাপড়াকে বিদ্যালয় কেন্দ্রিক করার জন্য। তথা বিদ্যালয়েই শিখন-শেখানো কার্যক্রমের সব কিছু শেষ করতে হবে শিক্ষকদের। প্রয়োজনে অধিক সময় শিক্ষার্থীরা থাকবে বিদ্যালয়ে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে গিয়ে বিদ্যালয়ের চাপ আর সইতে সইতে হবে না। আর এ কারণেই বাংলাদেশের যে সকল বিদ্যালয়ে ডাবল শিফট চালু রয়েছে তা বন্ধ করে এক শিফট চালু করা হবে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে আগেই জানাগেছে।

গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে গেছে, প্রি-প্রাইমারি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত একটি নতুন কারিকুলাম তৈরি করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড। যা ২০২২ সাল থেকে কার্যকর হবে। ওই কারিকুলামে প্রাথমিকের পাঠ্যক্রম সম্প্রসারণ করা হয়েছে। পরিমার্জিত অত্র কারিকুলামে এক শিফটের বিদ্যালয়ের সময় বাড়িয়ে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালিত হবে প্রাথমিকে। খোজনিয়ে জানা যায়, বর্তমানে এক শিফটের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকাল ০৯টা থেকে বিকাল সোয়া তিনটা পর্যন্ত শিখন-শেখানো কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছিল করোনা। আর দুই শিফটের বিদ্যালয়ে সকাল ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালিত হয়। 

পরিবর্তিত এক শিফটের বিদ্যালয় পরিচালনায় যে সময় নির্ধারিত রয়েছে সেই সময় বাড়িয়ে দেওয়া হবে। দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালিত হবে এক শিফটে। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রয়োজনীয় ক্লাস পূর্বকালীন সময়ে। এ জন্য শ্রেণি কক্ষ বৃদ্ধি সহ অন্যান্য সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে ডাবল শিফটের বিদ্যালয় সমুহকে পর্যায়ক্রমে সিঙ্গেল শিফট স্কুলে রূপান্তর করে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে অবস্থানের সময় বৃদ্ধি ও লেখাপড়া বিদ্যালয় কেন্দ্রিক করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম আল হোসেন বলেন, ‘অবকাঠামো এবং পর্যাপ্ত শিক্ষক হয়ে গেলেই আমরা এক শিফটের বিদ্যালয় চালু করতে সক্ষম হব।’ এবিষয়ে গত মঙ্গলবার ০৬ অক্টোবর ২০২০ তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল, সেই বৈঠকে প্রি-প্রাইমারি থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত কত ঘণ্টা বিদ্যালয়ের নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আকরাম আল হোসেন আরও বলেন, ”শিক্ষার্থীর বিদ্যালয়ের লেখাপড়া বিদ্যালয়েই শেষ করতে হবে। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে বেশি সময় অবস্থান করে দিনের পাঠ দিনেই শেষ করবে। এ লক্ষ্যে ডাবল শিফট বাদ দিয়ে প্রতিটি বিদ্যালয়ে সিঙ্গেল শিফট করা হবে।”

READ MORE  প্রধান শিক্ষকদের পদোন্নতিতে বয়সের কালো আইনের থাবা

ডিবি.আর.আর

আরো পড়ুনঃ সিনিয়রিটি, পদোন্নতি, টাইমস্কেল বাতিল, টাকা ফেরত, মূলবেতন কমল প্রাথমিক শিক্ষকদের

প্রাথমিকে ২৫ হাজার ৩০০ ও ১০ হাজারের বিশাল নিয়োগ

চার পাঁচজন শিক্ষক একই পদে যেতে চাইলে সফটওয়্যার যাকে মনে করবে অনুমোদন দেবে

Follow Our Twitter: CLICK HARE



Join telegram Channel : CLICK HARE

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *