যে কারণে বৃহস্পতি ও শুক্রবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি থাকলে ভালো হবে

দৈনিক বিদ্যালয় : বিশ্বের অনেক দেশে অফিস-আদালতে সাপ্তাহিক বন্ধ একদিন হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে দুই দিন। অথচ বাংলাদেশের অবস্থা সম্পূর্ণ উল্টো। সম্প্রতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সপ্তাহে দুইদিন ছুটির খবরে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মনে আনন্দ দেখা দিয়েছে। দেশের সকল অফিস-আদালত শুক্র ও শনিবার বন্ধ থাকে। ফলে রাজধানী ঢাকাসহ বড় বড় শহরগুলোতে শুক্র ও শনিবার রাস্তায় যানজট কম থাকে।

১৫ থেকে ১১ গ্রেড পর্যন্ত বেতন হিসাব ২০১৫ জাতীয় বেতনস্কেল অনুযায়ী

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বৃহস্পতি ও শুক্রবার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হলেঃ

# ঢাকাসহ দেশের বড় বড় শহর বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার তিনদিনই যানজট মুক্ত থাকবে।

# বিভিন্ন দপ্তরে চাকুরীরতরা নিয়মিত শনিবারে ছেলে-মেয়েদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে যেমন খোজ-খবর নিতে পারবেন।

# শিক্ষকরাও বৃহস্পতিবারে ছুটি না নিয়ে অফিস কিংবা ব্যাংকে ব্যক্তিগত কাজ সারতে পারবেন।

বিষয়টি বিবেচনার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবর সবিনয়ে অনুরোধ করছি।

বিভিন্ন দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাৎসরিক কর্ম দিবসের হিসাব নিম্নে প্রদত্ত হলঃ

১. বাংলাদেশ, কার্যদিবস ২০৪৭ দিন, জানুয়ারি ০১ তারিখ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

২. ব্রাজিল, ২০০ দিন, ফেব্রুয়ারী ০১ থেকে ডিসেম্বর ৩১।

৩. কানাডা, ২০০ দিন, সেপ্টেম্বর থেকে জুন।

৪. ফিনল্যান্ড, ১৯০ দিন, আগষ্ট ১৫ থেকে জুন ১৫।

৫. ফ্রান্স, ১৮০ দিন, সেপ্টেম্বর থেকে জুলাই।

৬. জার্মানি, ১৮৮-২০৮ দিন, আগস্ট ০১ থেকে জুলাই ৩১।

এছাড়া হাঙ্গেরি, ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ইসরাইল, ইতালি, জাপান, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, নাইজেরিয়া, ফিলিপিন্স, সিংগাপুর, রাশিয়া, স্কটল্যান্ড, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, যুক্তরাষ্ট্রের মত দেশে ২০০ দিনের বেশি কার্যদিবস নেই।

দেশে দেশেশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্য দিবস

-জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সভাপতি, বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক প্রধান শিক্ষক সমিতি।

প্রাথমিক শিক্ষকদের অনলাইন বদলি বিষয়ে জানালেন অধিদপ্তরের ডিজি

তথ্যসূত্র : বাংলাদেশ শিক্ষা সাময়িকী। ডিবি আর আর।

Leave a Comment