এক সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য সার্বিক পরিকল্পনা আদেশ আসছে

দৈনিক বিদ্যালয় ডেস্ক :: ক্রমবর্ধমান করোনার উর্ধমুখি গতির কারণে দ্রুত স্কুল খোলার কোন পরিবেশ না থাকায়, এসময় পাঠদান চালিয়ে নিতে প্রতিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘অনলাইন স্কুল’ ব্যবস্থা চালু করবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। এটি মূলত শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ করা এবং পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের এগিয়ে নিতেই এমন উদ্যোগ।

এছাড়া গ্রামীন এলাকার শিক্ষার্থীদের পাঠদান অব্যাহত রাখতে বিকল্প আরও একটি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আর তা হলো, সার্বিক পরিকল্পনায় গ্রামের শিক্ষার্থীদের জন্য সাত দিনের পাঠ্য সরবরাহ করে শিক্ষাদান অব্যাহত রাখার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এসময় স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে শিক্ষার্থীদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে এবং অভিভাবকদের মাধ্যমে সাত দিনের পাঠ্য বা ওয়ার্কশীট পৌঁছে দেবেন শিক্ষকরা।

এর বাহিরে যেসকল এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই, সেসকল এলাকার শিক্ষার্থীদের পাঠদান অব্যাহত রাখতে প্রয়োজনে শিক্ষকরা বাড়িতে বাড়িতে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে পাঠদান করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণমূলক পাঠ অংকনসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পাঠ্য শেখাতে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে শেখানোর ব্যবস্থা রাখা ও হয়েছে।

এমন সার্বিক পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আদেশ জারি করা হবে বলে জানা গেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে।

এধরণের বিকল্প এই ব্যবস্থা সম্পর্কে কথা বলতে যেয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর মহাপরিচালক, আলমগীর মুহাম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, অংকনসহ কিছু পাঠ রয়েছে যেসব পাঠ্যে ইন্টারেকশন প্রয়োজন। সেসব পাঠ্য প্রয়োজনে শিক্ষকরা বাড়িতে গিয়ে শেখাবেন। এবং শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখবেন। এক্ষেত্রে যদি মোবাইলে যোগাযোগ না করা সম্ভব হয়, সে ক্ষেত্রে শিক্ষক স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অভিভাবকের মাধ্যমে বা শিক্ষার্থীকে সরাসরি সাত দিনের পাঠ্য সরবরাহ করবেন শিক্ষার্থীর বাড়ি বাড়ি যেয়ে।

আরও পড়ুন : যেভাবে আইডি কার্ড পাবেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা

READ MORE  ফেসবুকে অধিদপ্তর থেকে জারি করা চিঠি সম্পর্কে মন্তব্য করায় শিক্ষক বরখাস্ত

এবারের ফিতরা সর্বোচ্চ ২৩১০, সর্বনিম্ন ৭০ টাকা

ঈদের আগেই শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তি ও জামা-জুতা কেনার টাকা

বাড়ির বাহির হতে পরিচয় পত্র ব্যবহারের নির্দেশ প্রাথমিক শিক্ষক-কর্মচারীদের

এবিষয় সম্পর্কে আরও জানতে চাইলে মহাপরিচালক বলেন, প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনলাইন স্কুল চালু করা হচ্ছে। এই অনলাইন স্কুলের মাধ্যমে প্রতিটি শিক্ষার্থীদের পাঠদান অব্যাহত রাখা হবে। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমুহে ছুটির কারণে গ্রামের শিক্ষার্থীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সে জন্য অনলাইন স্কুল পরিচালনার পাশাপাশি গ্রামের প্রতিষ্ঠানগুলোতে যেসব শিক্ষার্থীরা অনলাইনে সুযোগ নিতে পারবে না তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থায় পাঠদান অব্যাহত রাখা হবে।

এছাড়া দেশের পাহাড়ি এলাকা সহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই, সেসকল এলাকায় স্কুল শিক্ষার্থীদের বিকল্প ব্যবস্থায় পাঠদানের ব্যবস্থা করা হবে।

তার ভাষ্যমতে, সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি করে ল্যাপটপ দেওয়া হয়েছে। এ বছর আরও একটি করে ল্যাপটপ দেওয়া হবে। সাথে সাথে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ও দেওয়া হবে। বিদ্যালয় সমুহে আগামী জুলাই মাস থেকে এর জন্য ফার্নিচারও পৌঁছাবে। এর জন্য টেন্ডার হয়েছে এবং অনেক ক্ষেত্রে ওয়ার্ক অর্ডারও হয়েছে।

মনসুর আলমের বক্তব্য হল, এক সপ্তাহের মধ্যে বিকল্প পদ্ধতিতে পড়ানোর প্রস্তুতি সংক্রান্ত সার্বিক পরিকল্পনা আগামী শনিবারের বৈঠকে চূড়ান্ত করে এ-বিষয়ক নির্দেশনা জারি করা হবে।

শিক্ষা বিষয়ক অনলাইন নিউজ ঠিকানা ‘দৈনিক বিদ্যালয়’ পড়ুন। -ডিবি আর আর।

Leave a Comment