ভুক্তভোগী সেই শিক্ষিকা নাজমা আক্তার

দৈনিক বিদ্যালয় ডেস্ক :: বেতন-বোনাসের টাকা তুলতে যেয়ে সেই টাকা ব্যাংকের ভিতর থেকেই ছিনতাই হয়েছে এক অভিনব কৌশলে।

যে শিক্ষিকার কাছ থেকে টাকা ছিনতাই হয়েছে তিনি লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা সোনালী ব্যাংকের থেকে ৬ মে তারিখে টাকা উত্তোলন করেন। শিক্ষিকার নাম নাজমা আক্তার। তিনি গোতামারী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।

৬ মে উপরোউল্লিখিত ব্যাংক থেকে ৪০ হাজার টাকা উত্তোলন করলে ব্যাংকের মধ্য থেকেই তারকাছ থেকে এক পুরুষ ছিনতাইকারী উত্তোলিত টাকা ছিনিয়ে নিয়ে সটকে পড়েন। এই ঘটনাটি বেলা ১২টার দিকে হাতীবান্ধা সোনালী ব্যাংকের ভেতরে ক্যাশ কাউন্টারের কাছেই ঘটে।

ছিনতাই হয়ে যাওয়া টাকার মালিক ভুক্তভোগী নাজমা আক্তার উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নের ঘুটিয়া মঙ্গল পাড়া এলাকার রেজাউল করিমের স্ত্রী।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী শিক্ষিকা সূত্রে জানা গেছে, ৬ তারিখ সকালে হাতীবান্ধা সোনালী ব্যাংকে টাকা উত্তোলনের জন্য যান নাজমা আক্তার এবং তিনি ৪০ হাজার টাকা উত্তোলনও করেন। এসময় পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক অজ্ঞাত ব্যক্তি নাজমা আক্তারকে উত্তোলিত টাকাগুলো গুনে নিতে বলে ছিনতাইয়ের সুযোগ খোঁজেন।

উক্ত শিক্ষিকা বলেন, টাকা গুনতে হবে না। এসময় কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওই ব্যক্তি টাকা ছিনিয়ে নিয়ে সটকে পড়েন। এই ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক হয়ে পড়েন তিনি।ক

ঘটনার বিবরণ দিয়ে যেয়ে নাজমা আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমি যখনই টাকা উত্তোলন করলাম, তখনই সেই ব্যক্তি বলল, টাকাটা গুনে নেন। আমি বললাম, গুনতে হবে না। তারপর উনি আবার বলল, ছেঁড়া আছে কি-না একটু দেখে নেন। আমি তাতেও টাকা গুনতে রাজি হয়নি। কিন্ত সে জোর করে আমার কাছ থেকে টাকাটা তার হাতে নিয়ে চলে গেলে। আমি তখন কিছুই বুঝে উঠতে পারিনি। সেসময় চিৎকার করব সে শক্তিও আমি হারিয়ে ফেলি। এরপর আমি দ্রুত ব্যাংক ম্যানেজারের কাছে যাই এবং বিষয়টি অবগত করি।’

READ MORE  শিক্ষকদের উচ্চধাপে ফিক্সেশন প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে, পাসের আশ্বাস

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, সেই সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার আসাদুজ্জামান রাজু বলেন, মহিলা নিজেই সেই লোকটাকে টাকাটি দিয়েছেন। এতে আমাদের করণীয় নেই।

এখানে উল্লেখ্য, সেই ব্যাংকে কোন সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা নেই। ম্যানেজার বলেন, সিসি ক্যামেরার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বেশ কয়েকবার বলা হলেও ঊর্ধতনরা কোনো ব্যবস্থা নেননি তারা।

এবিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এরশাদুল আলম বলেন, বিষয়টি আমাদের জানা নেই। তবে এবিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।

বিষয়টি নিয়ে দেশের শিক্ষক ও নেটিজেনরা উক্ত ব্যাংকের নিরাপত্তাহীনতা ও সিসি টিভি না থাকাকে দুষছেন।

ডিবি আর আর।

Leave a Comment