প্রাথমিক শিক্ষকদের টাইমস্কেল প্রদান বিষয়ে নির্দেশনা

ডিবি ডেস্ক : : জাতীয় বেতন স্কেল সর্বশেষ ঘোষিত হয় ২০১৫ সালে। এর আগে সরকারি কর্মচারীবৃন্দ ৩ টি টাইম স্কেল পেতেন। এখন সেই টাইমস্কেল নাম পরিবর্তন করে উচ্চতর গ্রেড / সিলেকশন গ্রেড ইত্যাদি নামে অভিহিত হয়। আগে সমগ্র চাকুরী জীবনে কোন চাকুরীজীবী তিন বার এটি প্রাপ্ত হলেও এখন পান ২ বার। ১০ ও ১৬ তম বছর শেষে।

এই টাইমস্কেল/সিলেকশন গ্রেড বা উচ্চতর গ্রেড যে যে নামেই অভিহিত করুক না কেন এটি প্রদানের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের নির্দেশনা হলঃ

‘একই পদে কর্মরত কর্মচারী কোন প্রকার উচ্চতর স্কেল (টাইমস্কেল)/সিলেকশন গ্রেড (যে নামেই অভিহিত হউক) না পাইয়া থাকিলে সন্তোষজনক চাকরির শর্তে তিনি ১০(দশ) বৎসর চাকরি পূর্তিতে ১১তম বছরে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড এবং পরবর্তী ৬ বছরে পদোন্নতি না পাইলে ৭ম বছরে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্য হইবেন।’

আরও খবর : টাইমস্কেলের টাকা ফেরত না দিতে ৪৯ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের আপিল

১৬ সেট প্রশ্নে যেভাবে নেওয়া হবে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা

প্রাথমিকে বহিরাগতদের সিনিয়রিটি ও চলতি দায়িত্ব বিষয়ে ডিজির বক্তব্য

উচ্চতর গ্রেডের প্রাপ্যতার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আরও নির্দেশনা হলঃ

”একই পদে কর্মরত কোন কর্মচারী দুই বা
ততােধিক উচ্চতর স্কেল (টাইমস্কেল/সিলেকশন গ্রেড (যে নামেই অভিহিত হউক) পাইয়া থাকিলে তিনি এই অনুচ্ছেদের অধীন উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্য হইবেন না।

একই পদে কর্মরত কোন কর্মচারী একটিমাত্র উচ্চতর স্কেল (টাইমস্কেল)/সিলেকশন গ্রেড পাইয়া থাকিলে উচ্চতর স্কেল (টাইমস্কেল)/সিলেকশন গ্রেড পাইবার তারিখ হইতে পরবর্তী ০৬ বছর পূর্তির পর ৭ম বছরে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্য হইবেন।

এই টাইমস্কেল সরকারি চাকরিজীবীদের এখন ১০ ও ১৬ বছরে পাওয়ার কথা থাকলে নানান জটিলতায় তা পাওয়া হচ্ছে না দেশের প্রাথমিক শিক্ষকদের। আইন যাই থাকুন আইনকে কোন কোন সরকারি প্রতিষ্ঠান প্রধান ও কর্মচারীরা থোড়াই কেয়ার করে। নানান রকম হয়রানির শিকার হতে হয় শিক্ষা অফিস ও হিসাব রক্ষণ (একাউন্স) অফিস কর্তৃক শিক্ষকদের।

READ MORE  ৪০% মহার্ঘভাতা ও দ্রুত পে-স্কেল গঠনের দাবিতে লিখিত আবেদন

এই টাইমস্কেল প্রদানের বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষকদের হয়রানি বন্ধে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাসিক সমন্বয় সভা মে-২০২১ এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এক নির্দেশনা দিয়েছে অধিদপ্তর। সেই নির্দেশনায় বলা হয়েছে: “প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের টাইমস্কেল প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে কোন প্রকার হয়রানি করা যাবেনা। যথাসম্ভব দ্রুততার সাথে টাইমস্কেল প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।”

এবিষয়ে সাধারণ শিক্ষকরা বলছেন, এমন নির্দেশনা প্রতিনিয়ত দেওয়া হয়, কিন্তু আমাদের হয়রানি বন্ধ হয়না।

এই টাইমস্কেল বিড়ম্বনার শিকার জনৈক সহকারী শিক্ষক অজয় কুমার বলেন, ২০০৯ সালে আমার যোগদান হলে আমি ২০১৮ সালের শেষে এসে প্রথম টাইমস্কেল পাওয়ার কথা, কিন্তু এখন ২০২১ সাল শেষ হতে যাচ্ছে! আমি টাইমস্কেল পেলাম না। আমার মত এই বিড়ম্বনার শিকার হাজার হাজার শিক্ষক।

কী করা যেতে পারে এই টাইমস্কেল সমস্যা ইত্যাদি থেকে মুক্তি পেতে গেলে? সমাধান হল, সর্বশেষ ১৩গ্রেড ফিক্সেশন এর একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে। সেখানে বিনা ব্যার্থতায় ১০ মে এর মধ্যে দেশের সকল সহকারী শিক্ষকদের পে ফিক্সেশন সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্টদের। এমন একটি পরিপত্র জারির দাবি শিক্ষকদের। তারিখ নির্ধারণ করে যাদের টাইমস্কেল বকেয়া আছে তাদের টাইমস্কেল দিয়ে দিতে বলতে হবে অধিদপ্তরকে। এবং এর জন্য সিজিএ বা মহা হিসাব নিরীক্ষন অফিসের সাথে সমন্বয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সমন্বয় সাধন করলে শিক্ষকরা টাইম স্কেল প্রাপ্তির দূর্গতি থেকে মুক্তি পেতে পারে। তা না হলে শুধু পরিপত্র জারি করাই সার!

উল্লেখ্য, ১৫ জুন মঙ্গলবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পলিসি ও অপারেশন শাখার পরিচালক মনীষ চাকমা স্বাক্ষরিত এ পত্র যাতে টাইমস্কেল হয়রানি বন্ধ ও বিলম্ব বন্ধ করতে বলা হয়েছে। সেই পরিপত্রটি দেশের সকল বিভাগীয় উপ পরিচালক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা ও থানা শিক্ষা অফিসারকে পাঠানো হয়েছে।

ডিবি আর আর।

Leave a Comment