স্বর্ণ কেনার সেরা সময় এখনই!

বিদায়ী ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে বাসা ভাড়া এবং খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। পরিপ্রেক্ষিতে দেশটিতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৩ দশমিক ৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

গত নভেম্বরের চেয়ে যা শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। এতে, স্পষ্ট বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। ফলে স্বর্ণের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে বিশ্লেষকরা বলছেন, স্বর্ণ কেনার সেরা সময় এখনই। নেপথ্যে পাঁচটি কারণ উল্লেখ করেছেন তারা। প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএসের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

১. প্রাকৃতিকভাবে মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে স্বর্ণ। কারণ, ঐতিহাসিকভাবে মূল্যস্ফীতি চড়া হওয়ার সময় নিরাপদ আশ্রয় ধাতুটির দর ঊর্ধ্বমুখী হয়। ফলে সেটি এখন কিনলে ভবিষ্যতে লাভবান হওয়া যাবে।

২. কখনও কখনও শেয়ার ও বন্ডের বাজারমূল্য কমে যায়। তবে স্বর্ণের দাম হ্রাস পায় না। ফলে গুরুত্বপূর্ণ ধাতুটির মজুত থাকলে লোকসানের আশঙ্কা কমে। ঐতিহ্যবাহী সম্পদের মধ্যে ভারসাম্য আনে।

৩. অর্থনৈতিক অস্থিরতা এবং ভূ-রাজনৈতিক উদ্বেগের মাঝে ঢাল হিসেবে কাজ করে স্বর্ণ। এই দুই সংকটের মধ্যে মুনাফা এনে দেয় এটি। এ কারণে একে দুঃসময়ের বন্ধু বলা হয়।

৪. ব্যাংক বা অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন সম্পদ মজুত রাখলে লভ্যাংশ বা সুদ পাওয়া যায়। তবে সেটা সেসব সম্পত্তির লাভের ওপর নির্ভর করে। কিন্তু স্বর্ণের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য নয়। এক্ষেত্রে সময় যত গড়ায় তত মুনাফা পাওয়া যায়।

৫. মুদ্রার পরিবর্তে স্বর্ণ ব্যবহার করা যায়। যে কারণে এখন বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো চকচকে ধাতুটি কেনার দিকে বেশি নজর দিয়েছে। তাতে স্বর্ণের চাহিদা আরও বেড়ে গেছে। স্বাভাবিকভাবেই বুলিয়ন মার্কেট চাঙা হচ্ছে। ফলে এখন তা কিনে রাখলে সামনে লাভবান হওয়ার দারুণ সুযোগ রয়েছে। কেননা শিগগিরই গোটা বিশ্বে আর্থিক খাতে বিশৃঙ্খলা এবং রাজনৈতিক সংঘাত প্রশমিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

READ MORE  South Korean pop singer Moon Bin dead at 25