যে কারণে মাধ্যমিকের পাঠ পরিকল্পনা নেই : প্রাথমিকে পড়াতে হবে বাসায় যেয়ে

শিক্ষা মন্ত্রণালয়

দৈনিক বিদ্যালয় ডেস্ক :: দেশে করোনার ঊর্ধ্বগামী সংক্রমণ থাকায় সরকার ঘোষিত সময়ে স্কুল-পাঠশালা না খোলায় ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য যে পাঠ পরিকল্পনা করা হয়েছিলো তা আর থাকছে না। এছাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমুহের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খুলবে তা নিয়ে শঙ্কা থাকায় শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন কোন পাঠ পরিকল্পনা এখনো করা হয়নি। এমনটাই জানিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড-এনসিটিবি।

এবিষয়ক জটিলতা নিয়ে কথা বলেছেন, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের শিক্ষাক্রম বিষয়ক সদস্য প্রফেসর মো. মশিউজ্জামান। তিনি বলেন, মূলত শিক্ষার্থীদের এসময়ের মধ্যে কতদিন ক্লাস করানো যাবে এর উপর নির্ভর করেই সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করা হয়। কিন্তু আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে কোন ধারণা না থাকায় নতুন করে কোন ‘পাঠপরিকল্পনা’ ও তৈরি করা যাচ্ছে না। কবে এবং কতদিনের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা যেতে পারে তা নিয়েও তৈরি হয়েছে সংশয়।

এবিষয়ে তিনি আরো বলেন, শিক্ষামন্ত্রী আমাদের বলেছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যে মাসেই বা যখনই খোলা হোক পাঠ প্রদানের পরই পরীক্ষার আয়োজন করা হবে। মশিউজ্জামান বলেন, ’সরকারের এমন সিদ্ধান্ত থাকতে পারে যে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক কাজের মধ্য দিয়েই অন্যান্য শ্রেণির পাঠদান সম্পন্ন করতে হবে।’

আরও পড়ুন : প্রাথমিকের পাঠ পরিকল্পনায় পরিবর্তন : শিক্ষকদের ছাত্র-ছাত্রীদের বাসায় যেয়ে ওয়ার্কশীট দিতে হবে

এসএসসি পরীক্ষার এবার ফরম পূরণের টাকা কত

ফরম ফিলাপে অতিরিক্ত ফি নিলে ম্যানেজিং কমিটি বাতিল : টাকা ফেরতের নির্দেশ

অন্যদিকে প্রাথমিকবিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ছাত্র-ছাত্রীদের বাসায় যেয়ে যেয়ে পড়াতে হতে পারে এমন্টাই একটি সূত্র থেকে জানাগেছে।

বাসায় যেয়ে পড়ানো ও প্রাথমিকের পাঠ-পরিকল্পনা সংশোধন বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষাক্রম বিষয়ক সদস্য ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান জানিয়েছেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ পরিকল্পনায় পরিবর্তন আসছে। এবিষয়ে কাজ করছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এবং জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি-NAPE।

তিনি বলেন, চলমান করোনা পরিস্থিতি খারাপ হলে মে মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব না হওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে আমাদের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও যোগ করেন, এর আগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রতি শ্রেণির জন্য সপ্তাহে একদিন পাঠ কার্যক্রম পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত থাকলেও করোনা সঙ্কটের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সে সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে।

READ MORE  এবারও হচ্ছে না প্রাথমিক, ইবতেদায়ী, জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা : প্রমোশন দেওয়া হবে যেভাবে

প্রাথমিকের শিক্ষাক্রম বিষয়ক সদস্য আরও বলেন, আমাদের নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতি সপ্তাহে একদিন পাথমিকের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের বাড়িতে যেয়ে অভিভাবকদের কাছে ‘ওয়ার্কসিট’ পৌঁছে দিতে হবে। এরপর পরবর্তী সপ্তাহে তা জমা নিয়ে পুনরায় নতুন ওয়ার্কসিট পৌঁছে দিতে হবে।

(ওয়ার্কশীট হলঃ প্রাথমিক বইয়ের প্রতি অধ্যায় শেষে বা বইয়ের মধ্যে যে ওয়ার্কশীট বা অনুশীলনী দেওয়া আছে সেটি। সেই অনুশীলনী থেকে শিক্ষার্থীদের অনুশীলন করার জন্য বাড়ির কাজ দিয়ে আসতে হবে শিক্ষকদের নির্ধারিত ছকে।)

সেগুলো ফটোকপি করে অভিভাবকদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।

এবিষয়টি কিভাবে সম্পন্ন করতে হবে? সে বিষয়ে রিয়াজুল হাসান বলেন, শিক্ষকরা ক্লাস্টার, সাব ক্লাস্টার বা ক্যাচম্যান্ট এরিয়া ভাগ করে নিয়ে একাজটি করতে পারেন। অথবা শ্রেণি শিক্ষকরা মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ভাগ করেও ওয়ার্কশীট বিতরণের কাজটি করতে পারেন।

শিক্ষক সহ নিহত ৪ একই পরিবারের

শিক্ষার সকল খবর জানতে ‘দৈনিক বিদ্যালয়’ অনলাইন পোর্টালে নিয়মিত চোখ রাখুন। শিক্ষা ও চাকুরী বিষয়ক সকল খবর সম্পর্কে আপডেটেড থাকুন।

-ডিবি আর আর।

Follow Our Twitter: CLICK HARE



Join telegram Channel : CLICK HARE

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *